যাদের প্রিপারেশন মুটামুটি তারা যে ভাবে প্রিপারেশন নিবেন।
অনার্সের পরিক্ষার ক্ষেত্রে সব সাব্জেক্টকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
সহজ সাব্জেক্ট ভেবে পরে করে ফেলব এই চিন্তা করে অবহেলা করলে সেই সহজ সাব্জেক্টেও রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায়।
রেজাল্ট খারাপের আরও একটা বড় সমস্যা হচ্ছে নন মেজর সাবজেক্ট কে গুরুত্ব কম দেওয়া।
গণিত বিভাগের ক্ষেত্রে পদার্থ,রসায়ন/পরিসংখ্যান আর পদার্থ কিংবা রসায়ন বিভাগের ক্ষেত্রে নন মেজর ম্যাথ সাব্জেক্ট গুলা।।
এখন আসেন হাতে ১ মাস সময় এই সময়ে কিভাবে গোছানো প্রিপারেশন নিবেন?..
১।যে সাব্জেক্ট গুলা মুটামুটি এতোদিনে শেষ করেছেন সেগুলা আগামী ১৫ দিন টার্গেট করে একবার রিভিশন দিবেন। এরপর ৭ দিনে আবার একবার রিভিশন দিবেন।
এই ২ বার রিভিশন এর সময় যদি মনে হয় কিছু নতুন করে পড়তে পারবে তাহলে পড়ে ফেলো।
আর যদি না পারো তাহলে দরকার নাই।।
২।নাম্বার এই যে ১৫+৭ = ২২ দিন এই ২২ দিনে নন মেজর সাব্জেক্ট যাদের পদার্থ এবং রসায়ন আছে এই সাব্জেক্ট গুলার সাজেশন ধরে ধরে দিনে ২ টা করে প্রশ্ন মুখস্থ করতে হবে।
১ম দিনে যেটা মুখস্থ করবে ২য় দিনে সেটা আবার রিভিশন করে এরপর নতুন করে আরো দুইটা প্রশ্ন করবেন।
একই ভাবে “ক” বিভাগ কে গুরুত্ব দিতে হবে।
অর্থাৎ মুখস্থ যে পড়া সেগুলা ২-৩ দিনে মুখস্থ করা কঠিন তাই মুখস্থ পড়া গুলা আগে থেকেই পড়তে পারলে পরিক্ষার আগে ২-১ ঘন্টায় রিভিশন করা যায়।।
“মনে রাখবে যত পড়িবে ততই ভুলিবে আর ভুলিতে ভুলিতে শিখে যাবে”
একটা প্রশ্ন একবার বা ২ বার পড়েই মনে থাকবে এমন নয় কঠিন প্রশ্ন গুলা ২ বাড় পড়ে ২ বার মুখস্থ লিখতে পাড়ার পর আর একবার রিভিশন করলে ভুলার সুযোগ খুবই কম।
৩।অনার্সে ভালো করার জন্য সব পড়তে গেলে কিছুই লিখতে পারবে না। তাই বই এর গুরুত্বপূর্ণ ৫-৬ টা চ্যাপ্টার(প্রিপারেশন ভালো থাকলে ৯-১০ টা চ্যাপ্টার) ব্যাসিক সহ ভালো ভাবে করবে যেন যে কনো ম্যাথ আসলে পারো এই কটা চ্যাপ্টার থেকে।আর বাকি চ্যাপ্টার গুলাতে থেকে ২ বার এর বেশি সালে আসছে এমন ম্যাথ গুলা শুধু দেখতে পারো।
৪। ইম্পর্টেন্ট চ্যাপ্টার কিভাবে বাছা করবে?.
i)প্রথমে বই থেকে লাস্ট ইয়ার এর প্রশ্ন বের করবে।
ii) এরপর খাতায় লিখবে খ বিভাগ এ যে যে চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন আসচে শুধু চ্যাপ্টার গুলা লিখবে যেমন ch-1,2,3,4, ইত্যাদি
iii) একই ভাবে গ বিভাগে কোন কোন চ্যাপ্টারে প্রশ্ন আসছে লিখবে।
iv) এবার উপরের নিয়ম অনুযায়ী আরো বিগত ৫ বছরের প্রশ্ন এনালাইসিস করবে।
এবার সব চ্যাপ্টার একত্র করলে দেখতে পারবে কিছু চ্যাপ্টার আছে যেগুলা থেকে প্রতিবারেই প্রশ্ন হয়।
এবার এই চ্যাপ্টার গুলা পড়ে ফেল ভালো ভাবে।।
হাতে সময় কম থাকলে ইমপর্টেন্ট ম্যাথ গুলা বার বার রিভিশন করবে যাতে মুখস্থের মতো হয়ে যায়।।
একই নিয়মের অনেক ম্যাথ পাবে যদি নিয়ম একই বলে ঐ গুলা প্রাক্টিস না করো তাহলে নিয়ম ঠিক থাকলেও ক্যালকুলেশন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
***গ বিভাগের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিন**
গ বিভাগের ৫ টা প্রশ্নের উত্তর বা ৪ টা প্রশ্নের উত্তর করতে পারলে খ বিভাগ এর এমনিই ৩-৪ টার উত্তর করতে পারবে।
আর ক বিভাগ থেকে ৬-৭ পাইলেই ফাস্ট ক্লাস নিশ্চিত।।
zmathecal school এর সাজেশন থেকে প্রতিবারেই ৭৫%-১০০% প্রশ্ন কমন আসার রেকর্ড আছে তাই zmathecal school এর সাজেশন টা কেউ ভালো ভাবে শেষ করলেও ভালো করা সম্ভব।।
যাদের প্রিপারেশন খারাপ তারা আগে প্রোমোটেড এর চিন্তা করো।
সব কছু পড়তে গিয়ে পরিক্ষার আগে সব ভুলে যাবে।
প্রমোটেড হওয়া খুব সহজ
প্রাক্টিকেল সহ ৩ টা সাব্জেক্ট এ পাস করতে হবে।
ইতিহাস তো পাস হবেই।
এখন দুইটা সাব্জেক্ট টার্গেট করো।
পদার্থ-২ ৪০ মার্কের এক্সাম একটু প্রিপারেশন নিলে পাস।
লিনিয়ার ২,৩,5b,c,7।
ফান্ডামেন্টাল চ্যাপ্টার১,২,৪,৫,৭,৮।
জিওম্যাট্রি চ্যাপ্টার ১,২,৬,৭,৮।
ক্যালকুলাস চ্যাপ্টার ১-৫,১৬,১৯।
এই চ্যাপ্টার গুলা করলে পাস তো বটেই ভাগ্য ভালো হইলে ফাস্ট ক্লাস ও আসতে পারে।
আমাদের পেইড কোর্স চলছে।যারা এতোদিন কিছুই পড়োনি তারা এই কোর্সে যুক্ত হতে পারো।
কোর্সে যুক্ত হইলে তুমি কম সময়ের মধ্যে এই চ্যাপ্টার গুলা শেষ করতে পারবে।কারন চ্যাপ্টার গুলা ব্যাসিক থেকে করানো আর পরিক্ষায় যে ম্যাথ গুলা আসবে সেগুলা সব করানো আছে ফলে কোন ম্যাথ নিয়ে আটকে থাকতে হবে না।
আজ এই পর্যন্তই ধন্যবাদ। আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারো।
বি:দ্র: গণিত বিভাগের সকল সাব্জেক্ট এর সাজেশন খুব শীঘ্রই ওয়েবসাইট এ যুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।।